রংপুরের পীরগাছায় রহস্যজনকভাবে যুবকের মরদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি -প্রতিকী ছবি।
রংপুরের পীরগাছায় ফারুক হোসেন (৩৬) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল শনিবার সকালে পারুল ইউনিয়নের গুলাল গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারুক হোসেন ওই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। তার দুই সন্তান রয়েছে এবং স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বাজারে যাওয়ার কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ জানায়, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পড়নের লুঙ্গির নিচে থাকা হাফ প্যান্ট খোলা অবস্থায় ছিল, যা এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কেউ কেউ মাদক সংশ্লিষ্টতার কথাও বলছেন।
নিহতের স্ত্রী শান্তনা বেগম জানান, তার স্বামী রাতে বাজারে যাওয়ার কথা বলেই বের হয়েছিলেন। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। নিহতের বাবা নজির হোসেন বলেন, 'কি থেকে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল কি না সেটাও জানা নেই।'
স্থানীয় একটি সুত্র বলছে, গরু চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে, খবর নিয়ে জানাগেছে নিহত ফারুক হোসেনের সাথে এলাকার চিহ্নিত গরু চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যদের সক্ষতা ছিল।নিহতের স্ত্রী শান্তনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার বাড়িতে প্রায়ই মিজান এবং ইউসুফ যাতায়াত করতেন। খবর নিয়ে জানাগেছে পারুল ইউনিয়নের দেউতি কানিবুড়ি এলাকার গরু চোর ফরহাদ গ্রুপের সদস্য। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফরহাদের বাড়ি থেকে দু'টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরে আলম সিদ্দিকীকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেনি। তবে এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, 'মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আপাতত অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।