রংপুরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীরা

হারুন-অর-রশিদ বাবু 

১০ এপ্রিল ২০২৫, রাত ৮:৪৬ সময়
Share Tweet Pin it
[রংপুরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীরা]

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অন্ধকারে পরীক্ষা দিচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। ছবিটি গঙ্গাচড়া হাজী দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সকাল :১০:৩০ টায় তোলা। 

সারাদেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০ টায় শেষ হয় দুপুর ১ টায়। এদিকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সকাল থেকে বৈরী আবহওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকা ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় অন্ধকারের মধ্যে পরীক্ষা দেয় অনেক শিক্ষার্থী, আবার অনেকেই বেশি অন্ধকারের কারনে পরীক্ষার কেন্দ্রে খাতা নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। কিছু কেন্দ্রে বিকল্প হিসাবে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩শত ৫৯ জন। সরেজমিন উপজেলার হাজী দেলওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গাচড়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ নেই অন্ধকারের মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই আবার অন্ধকারের কারণে পরীক্ষার খাতা হাতে নিয়ে বসে আছেন, প্রায় ৪৫ মিনিট পর আসে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎবিহীন পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে থাকা অনেক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

কেন্দ্রের সামনে থাকা উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ থেকে আসা মিজানুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার ভাগিনা পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ বাংলা ১ম পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে প্রায় ৪০/৫০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিলনা! আকাশ মেঘলা থাকায় অন্ধকার হয়েছিল পুরো এলাকা। পরীক্ষা কেন্দ্রে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায়, অনেক শিক্ষার্থীকে বসে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষা কতৃপক্ষ আগামীতে এসব বিষয়ে বিবেচনা করবে বলে দাবি করেন ওই অভিভাবক। 

কোলকোন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, আমার  ছেলে ও ভাতিজা পরীক্ষা দিচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ওদের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষা দপ্তরের উচিৎ ছিল কেন্দ্রগুলোতে আগে থেকেই বিকল্প বিদ্যুৎ এর  ব্যবস্থা করা। তাহলে এ সমস্যা হতো না, আমরা কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো, আগামীতে যেন শিক্ষার্থীদের এমন পরিস্থিতিতে পরতে না হয়। 

হাজী দেলওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র সচিব সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি। 

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওয়াতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আইয়ুব আলী দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারনে ৩৩ কেবি লাইন ফল্ট করে। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই আমরা তা তাৎক্ষণিক ঠিক করেছি। সাময়িক অসুবিধা হয়েছে এটা ঠিক, তবে প্রাকৃতিক বিষয়গুলোতো আমাদের হাত থাকেনা।  

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে চাইলে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু কেন্দ্রে আগে থেকে বিকল্প ব্যবস্থা ছিলো। আশাকরি আগামীতে আর কোন সমস্যা হবে না।